গ্রাম আদালত সক্রিয় করতে ২৮.৩৭ মিলিয়ন ডলার দেবে ইইউ: তাজুল

SHARE

সারাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয় করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশকে ২৮ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ডলার দেবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলির সঙ্গে সাক্ষাত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের সঙ্গে ইইউর বিভিন্ন প্রজেক্ট আছে, সেগুলো নিয়ে আলাপ হয়েছে। ভিলেজ কোর্ট (গ্রাম আদালত) নিয়ে ইইউ ও ইউরোপের কয়েকটি দেশ আমাদের অর্থায়ন এবং কারিগরি সহায়তা করে।

‘আমাদের কয়েকটি জেলায় এটি পাইলট প্রজেক্ট আকারে চলছিলো। সারাদেশে একসঙ্গে ভিলেজ কোর্ট চালু করতে আমি তাদের (ইইউ) আর্থিক সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছিলাম। বাংলাদেশ সরকারও সেটি করবে। শেষ পর্যন্ত ইইউ রাজি হয়েছে। এই প্রকল্পে তারা ২৮ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ডলার দেবে আর ২৫ মিলিয়ন ডলার দেবে বাংলাদেশ সরকার।’

মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদে একটি কোর্ট থাকবে। ভিলেজ কোর্টের আইনও হয়েছে, সেমিনার হয়েছে। গ্রামের ছোট ছোট সমস্যা নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা হলে কিংবা কোর্টে গেলে উভয়পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে অনেক সময় ব্যয় হয় এবং কোর্টের ওপরও চাপ পড়ে। এজন্য সেগুলো এ পর্যায়ে নিষ্পত্তি করার জন্য আমরা একসঙ্গে ভিলেজ কোর্ট চালু করবো।

‘লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্টের জন্য তাদের অর্থায়ন ছিলো। এখন সেটিও শেষের পথে। এটি মূলত উপকূলীয় এলাকায় সাইক্লোনসহ যেসব দুর্যোগে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তারা যাতে মাইগ্রেট না করে অলটারনেটিভ জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করতে পারে- এ ধরনের কাজের জন্য দ্বিতীয় ধাপে অর্থায়ন করতে সুইডেন ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতসহ কয়েকজন আমার সঙ্গে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’

‘উপকূলীয় এলাকায় শুকনো মৌসুমে পানিস্বল্পতা থাকে। তখন বিশুদ্ধ পানির খুব অসুবিধা হয়। সে কারণে এখানে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। এগুলোর জন্য আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে টেকনোলজি সংগ্রহ করেছি।’

‘স্যালাইন ওয়াটারকে সোলার বিদ্যুতের মাধ্যমে ময়েশ্চার করা হবে। এরপর সেটিকে পানি বানানো হবে। স্কুলগুলোতে যেন পানি দেওয়া যায়, সেজন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। এটার ভালো রেজাল্ট আমাদের কাছে আছে।’

‘আমি তাদের বলেছি, আমরা একটি প্রজেক্ট করতে চাচ্ছি। সেখানে ৫০০ কিংবা এক হাজার কোটি টাকা আপাতত লাগবে। তারা এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ করে যদি অর্থায়ন করে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়, তাহলে আমরা কাজটি করবো। টেকনোলজিটা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে উপকূলীয় এলাকার স্কুলগুলোতে বাচ্চারা ড্রিংকিং ওয়াটার (বিশুদ্ধ খাবার পানি) পাবে।’