পোস্তায় চামড়া আসছে কম, দামও ভালো

SHARE

গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর চামড়ার বাজার ভালো বলে জানিয়েছেন পুরান ঢাকার পোস্তা এলাকার ব্যবসায়ীরা। এবার কোনো চামড়া ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না, দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তারা। ফলে নতুন করে চামড়ার বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদী এ খাতের ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (১১ জুলাই) রাজধানীর পুরান ঢাকার পোস্তায় গিয়ে দেখা যায়, চামড়া সংগ্রহের জন্য বসে আছেন গুদাম মালিকরা। কেউ চামড়া নিয়ে আসা মাত্রই কর্মচারীরা তাকে থামিয়ে দরদাম করছেন। গুদাম মালিক তা তদারকি করছেন।

একাধিক ব্যবসায়ী জাগো নিউজকে বলেন, এবার পোস্তায় চামড়া তুলনামূলক কম আসলেও মোটামুটি দাম পাওয়া যাচ্ছে। চামড়া ব্যবসায়ী হাজি কামাল বলেন, সরকার দাম বাড়ানোর পর এবছর ভালোই দাম পাচ্ছি।

তবে, পোস্তায় ঘুরে চামড়ার দরদাম লক্ষ্য করে দেখা যায়, ছোট চামড়ার দাম তুলনামূলক কম বলছেন ব্যবসায়ীরা। কোনো চামড়া দুইশ বা তার কমও বলছেন তারা।

ছোট চামড়ার চাহিদা কম জানিয়ে হাজি কামাল বলেন, কোনো চামড়া নেওয়ার মতো হলে আমরা ৩০০ টাকার কম দাম দিচ্ছি না। আমাদেরও একটা চামড়ায় ৩০০ টাকা মতো খরচ আছে। পাতলা ও ছোট চামড়ায় যে খরচ, বড়-মোটা ভালো চামড়ায়ও তেমনই খরচ। একটা বড় আকৃতির ভালো চামড়া এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়ও কিনেছি। চামড়া ভালো হলে সরকার নির্ধারিত দামের বেশি দিয়েও কিনেছি।

আরেক চামড়া ব্যবসায়ী মেসার্স মাসুম ট্রেডার্সের মালিক জয়নাল দুইদিনে পাঁচ হাজার চামড়া মজুত করেছেন। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, আমাদের চামড়া বিক্রি করতে অনেক কষ্ট হয়। ট্যানারি মালিকরা অনেক হিসাব করে চামড়া কেনেন। এর পরেও আমরা ভালো চামড়া পেলে বেশি দাম দিয়ে কিনে রাখছি। এবার চামড়ার বাজার আগের বছরের তুলনায় ভালো যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সভাপতি আফতাব খান বলেন, একটা সময় একটা চামড়ার দাম ছিল তিন হাজার টাকা। সেই চামড়া গত কয়েক বছরে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়ও নেমেছিল। তবে এবার চামড়ার বাজার বিগত বছরের তুলনায় ভালো। এবার চামড়া নষ্টও হবে না বলে আশা করছি। ব্যবসায়ীরা চামড়া ফেলে দিচ্ছেন- একসময় এমন পরিস্থিতিও ছিল, এবার তা হবে না। চামড়ার বাজার নিয়ে আমরা আশাবাদী।

তিনি বলেন, আমরা সরকারের নির্ধারিত দামেই চামড়া কিনছি। সে দামেই যেন ট্যানারি মালিকরা কেনেন। তাহলে পাইকাররা (কিছুটা লাভে) বিক্রি করতে পারবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে ঢাকায় গরুর লবণযুক্ত চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪৭ থেকে ৫২ টাকা নির্ধারণ করে। ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা। এ ছাড়া খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ঢাকায় ১৮ থেকে ২০ টাকা, বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ঢাকার বাইরে ও ঢাকায় বকরি ও খাসির চামড়ার দাম একই থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়।