পদত্যাগ করছেন বরিস জনসন

SHARE

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন বরিস জনসন। জানা গেছে, আজকেই তিনি ক্ষমতা ছাড়বেন। এর আগে দেশটির ৫৪ মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। এক সিনিয়র কর্মকর্তার যৌন অসদাচরণকে কেন্দ্র করে এ সংকট দেখা দিয়েছে দেশটিতে।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ কনজারভেটিভ নেতার পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন বরিস জনসন। তবে আগামী শরৎকাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। ফলে চলতি গ্রীষ্মেই কনজারভেটিভ দলীয় নেতৃত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী অক্টোবরে টরি পার্টির সম্মেলনের জন্য একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী জনসনের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের একটি সূত্র বলেছে, জনসন তার পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে কনজারভেটিভ পার্টির ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির সাথে কথা বলেছেন। সূত্রটি বলেছে, গ্রাহাম ব্র্যাডির সাথে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। অক্টোবরে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতা নির্বাচনে পদত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন তিনি। সম্মেলনে নির্বাচিত নতুন নেতাই প্রধানমন্ত্রী পদে জনসনের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

এদিকে রয়টার্স লিখেছে, বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদ্যাগের ঘোষণা দেবেন বরিস জনসন। সদ্য-নিযুক্ত মন্ত্রী এবং ৫০ জনের বেশি সংসদ সদস্য তাকে ছেড়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে জনসন নেতৃত্বাধীন সরকারের।

গত দুই ঘণ্টায় জনসনের সরকারের অন্তত ৮ মন্ত্রী, দুই প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। দেশটির মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সরকারের অন্তত ৫০ শীর্ষ সহযোগী পদত্যাগ করায় জনসন কার্যত ‘একাকী এবং ক্ষমতাহীন’ হয়ে পড়েছেন। যে কারণে ক্ষমতাহীন জনসনের নতি স্বীকার করে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়া অনিবার্য হয়ে পড়েছে।

বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক ক্রিস ম্যাসন বলেছেন, বরিস জনসন আজ কনজারভেটিভ পার্টির নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন।

২০২০ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্যে যখন করোনাভাইরাস মহামারির প্রথম ঢেউ চলছিল, সেই সময় বেশ কয়েকজন অতিথির জন্য লন্ডনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে নিজের সরকারি বাসভবনে পার্টির আয়োজন করেছিলেন ব্রিটিশ এই প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাজ্যের প্রথম লকডাউনের মধ্যে আয়োজিত সেই পার্টিতে শতাধিক অতিথি আমন্ত্রিত ছিলেন এবং সবাইকে যার যার মদ আনার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

পার্টিতে অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ই-মেইলের মাধ্যমে। গত জানুয়ারিতে ইমেইলটি ফাঁস হয় এবং তা থেকে জানা যায় ২০২০ সালের ২০ মে আয়োজন করা হয়েছিল সেই গার্ডেন পার্টির। গণমাধ্যমে এই ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর পার্লামেন্টের বিরোধী দল লেবার পার্টির এমপিরা জনসনের পদত্যাগ দাবি করেন। দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যেও তার জনপ্রিয়তায় ব্যাপক ভাটা পড়ে।