জাতীয় নির্বাচনে প্রয়োজনে উন্নত দেশের সহায়তা নেওয়া হবে : সিইসি

SHARE

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনে উন্নত দেশগুলোর সহায়তা নেব। এক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ কারিগরি সহায়তা নেওয়া হতে পারে।

রোববার (৩ জুলাই) উন্নত রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক সহযোগিতামূলক সংগঠন অরগানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বা ওইসিডি সদস্যভুক্ত দেশের কূটনৈতিকদের সঙ্গে নির্বাচন ভবনে আলোচনা শেষে তিনি এমন কথা বলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উনারা এসেছেন এটা একটা ট্রেডিশন। আগেও এসেছেন তারই ধাবাবাহিকতা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইন-কানুন, আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা আমাদের কার্যক্রমগুলো জানিয়েছি। উনার সাধারণত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর জোর দিয়ে থাকেন। সেজন্যই উনারা ইলেকশনটা যদি ইনক্লুসিভ, একসেপ্টবল, ফ্রি ও ফেয়ার হয় তাহলে উনারাও খুশি হবেন, পুরো দেশবাসী খুশি হবেন এ আশাবাদ উনারা ব্যক্ত করেছেন। আমরা আমাদের দিকে থেকে ইলেকশন কমিশন হিসেবে যা যা করণীয় করবো। উনারা প্লিজড। বলেছি ভবিষ্যতেও যখন প্রয়োজন হয় আসবেন।

কোনো সহযোগিতা করার বিষয়ে তারা কিছু বলেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ওনারা যেটা বলেছে সহযোগিতা করার কথা। আমরা চট করেই নিজেরা কিছু বলিনি। আমরা বলেছি আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দেখবো। কোনো টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা উনাদের জানাবো।

কী ধরনের সহযোগিতা করবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বলেছি সেটা আমরা বিবেচনা করে দেখবো। আমরা এখনো সহযোগিতা চায়নি।

সক্ষমতা বাড়ানোর সহযোগিতা নাকি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহযোগিতা করবে এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটা ইলেকশন রিলেটেড। যেটা হতে পারে ভোটার এজুকেশন, ইসির সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয় হতে পারে। আমি তো বলেছি আমরা উনাদের জানাইনি এখনো। আমরা যদি মনে করি কোনো রকম সহযোগিতা বা টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স বা ট্রেনিং প্রয়োজন হবে, তখন উনাদের জানাবো। এজন্য নিশ্চিত করে বলতে পারছি না কী ধরনের সহযোগিতা উনারা দেবেন বা আমরা কী ধরনের সহযোগিতা চাইবো।

তিনি বলেন, উনারা বিদেশি পর্যবেক্ষকের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি আমাদের এদিক থেকে কোনো বাধা নেই। তবে এ বিষয়ে ডিপ্লোমেটিকলি আলোচনা করে দেখতে পারেন। ফরেন ওবজারভারদের বিষয়ে আপনারা ফরেন মিনিস্ট্রিতে একটু কথা বলে দেখতে পারেন।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্বের বিষয়ে কোনো কথা বলেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে উনারা তেমন কিছু বলেনি। উনারাও খুব ভালো করেই জানেন এখনো কিছু কিছু দল ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। উনারাও বিশ্বাস করেন, আমরাও চেষ্টা করে যাবো যেন ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে ওসিইডি প্রতিনিধি হিসেবে ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ফ্রান্সের সহকারী রাষ্ট্রদূত গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আছিম ট্রস্টার, ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াটা, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিটেজ সালাস, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তোরান ও জাপানের ডেপুটি হেড অব মিশন ইয়ামায়া হিরোয়ুকি অংশ নিয়েছেন।

এছাড়া সিইসিসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।