রোহিঙ্গা ক্যাম্প : ৬ মাসে ৪ লাখ ইয়াবা ও ১৫ অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ১৪০০

SHARE

কক্সবাজারের উখিয়ার ১৫টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গত ছয় মাস ধরে অভিযান চালিয়ে চার লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এইসময়ে দেশি-বিদেশি ১৫টি আগ্নেয়াস্ত্রও জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে কথিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার ৪১৪ সদস্যসহ এক হাজার ৪১৬ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-১৪। এরমধ্যে সাতটি হত্যা মামলার ২৯ জন আসামিও রয়েছেন।

এপিবিএন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত উখিয়ার ১৫টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তিনটি বিদেশি পিস্তল, ১২টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২০ রাউন্ড গুলি, ১৭ রাউন্ড কার্তুজ, তিনটি ম্যাগজিন, ২০০ এর বেশি বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়। এসব ঘটনায় ১৫টি অস্ত্র মামলায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ক্যাম্প এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৫২ জন রোহিঙ্গা দুষ্কৃতিকারীকে গ্রেপ্তার করে ১০টি মামলা দেওয়া হয়।

এছাড়া তিন লাখ ৯৩ হাজার ৫১৯ পিস ইয়াবা, তিন কেজি ৬৯ গ্রাম গাঁজা, ১৮৮ ক্যান বিয়ার, ১২ বোতল হুইস্কি, ছয় হাজার ২৫৪ লিটার চোলাই মদ ও মাদক বিক্রির নয় লাখ ৩৬ হাজার ৭৩০ টাকা জব্দ করা হয়। এসব ঘটনায় মোট ১৫৪টি মামলায় ২০৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২২৬ গ্রাম স্বর্ণ, ৩২১ মণ চাল, ৩০ মণ চিনি, এক হাজার ৮২৩ লিটার সয়াবিন তেল, ৮১৪ কেজি ডাল, ২০ মণ সুজিসহ আরও অনেক চোরাচালান আটকের ঘটনায় ৫৬১ জন রোহিঙ্গাকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে পাঁচ লাখ এক হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ৫৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় এই ছয় মাসে।

১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাইমুল হক জানান, চিহ্নিত মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অতি দ্রুত মাদক ও অন্যান্য অপরাধ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এপিবিএন।