খুনী ভাড়া করে মাকে হত্যা, মেয়ে গ্রেপ্তার

SHARE

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ): ঈশ্বরগঞ্জে সম্পত্তির লোভে বৃদ্ধা মাকে হত্যার অভিযোগে হালেমা খাতুন নামে এক মেয়েকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার বিকেলে পাঁচদিনের রিমাণ্ড আবেদন করে হালেমাকে ময়মনসিংহ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
image_91847_0
গেল বছরের ১৩ অক্টোবর গভীর রাতে ভাড়া করা খুনিদের হাতে ঈশ্বরগঞ্জের সরিষা ইউনিয়নের কুর্শীপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারেক মাস্টারের স্ত্রী মা আমেনা বেগম (৯৫) নিজে ঘরে খুন হন। এ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা থাকায় তার নিজ মেয়ে হালিমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর গভীর রাতে বৃদ্ধা আমেনা ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় ঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে দুর্বৃত্তরা। ঘরে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে তার হাত পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তারা। এসময় ঘরে থাকা আলমিরার তালা ভেঙে প্রায় ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

পরদিন ১৪ অক্টোবর বিকেলে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এ ঘটনায় মেয়েজামাতা আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ দীর্ঘ তদন্তে গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে মাইজবাগ ইউনিয়নের রাউলেরচর গ্রামের ফারুখ মিয়াকে (৩১) সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে। পরে ফারুখ মিয়া পুলিশের কাছে বৃদ্ধা হত্যাসহ আরো দুইটি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। পরে ফারুখকে ময়মনসিংহ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।

আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ফারুখ জানান, বৃদ্ধা মাকে হত্যার জন্য আড়াই লাখ টাকার চুক্তি হয় মেয়ে হালেমা বেগমের সঙ্গে। ২৫ হাজার টাকা নগদ দেয়া হয়। হালেমার নির্দেশেই টাকার বিনিময়ে বৃদ্ধাকে খুন করে ফারুখ।

জবানবন্দি অনুযায়ী খুনের সহযোগী পলাতক জহিরুল ইসলামকে গত শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর রোববার অভিযান চালিয়ে বৃদ্ধা আমেনার মেয়ে হালেমা খাতুনকেও গ্রেপ্তার করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ফারুখ হোসেন জানান, চাঞ্চল্যকর বৃদ্ধা হত্যামালাটি তদন্ত করতে গিয়ে আরো দুটি হত্যার ঘটনা স্বীকার করে হত্যাকারী। তাছাড়া অর্থের বিনিময়ে মেয়ের নির্দেশেই মাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয় হত্যাকারীরা।