ঢাকা: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশিদা কে চৌধুরী বলেছেন, আমরা সবাই একটা মাস্তান তন্ত্রের কাছে বন্দি হয়ে যাচ্ছি।তিনি সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘রোগী-চিকিৎসক সম্পর্ক: সামাজিক অস্থিরতা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন। মতবিনিময় সভার আয়োজক স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন জাতীয় কমিটি ও ডক্টর ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট।
অনুষ্ঠানে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, তরুণ চিকিৎসকরা এখন যা করছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এটা আমরা কখনও আশা করি না। বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর কাছে চিকিৎসকদের মাথা নত করলে চলবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি না রোগী এবং চিকিৎসকদের সম্পর্কের মধ্যে এত আইন থাকতে আবার নতুন করে কেন আইন পাস করতে হবে। যে আইন আছে তার প্রয়োগ করলেই তো হয়।’
সভায় কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ডক্টর এম এ মালিক বলেন, চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যকার সুসম্পর্ক রক্ষায় আইন করতে হবে। তার যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। পৃথিবীর কোনো চিকিৎসক চান না তার রোগী মারা যাক।
গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের কাজ ভাল দিকটা যেমন বলা, তেমনি খারাপ দিকটাও তুলে ধরা। চিকিৎসকরা আপনাদের শত্রু না। বিশ্বাস আছে বলেই মানুষ এখনও সেবার জন্য চিকিৎসদের শরণাপন্ন হয়।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. নাজমুন নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন- জাতীয় অধ্যাপক ডা. শায়লা খাতুন, ডাকসুর সাবেক জিএস ড. মুস্তাক হোসেন, বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদ হাসান, জাতীয় স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক রশীদ-ই মাহবুব, ঢাকা মেডিকেলের শিশু বিভাগের ডা. আবু সাঈদ শিমুল প্রমুখ।