বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুশাসন : এফবিসিসিআই

SHARE

আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার যে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছে। এতে প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৭ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। চলমান বিপর্যয়ের মধ্যে দেশের চাহিদা পূরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য ঘোষিত বাজেটের আকার অত্যন্ত সময়োপযোগী। তবে এ বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুশাসন। যথাযথ মনিটরিং, বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় করতে হবে।

আজ শনিবার (১১ জুন) এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের ওপর সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনের বোর্ডরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এফবিসিসিআইর সভাপতি বলেন, বিশাল আকারের বাজেটের সামাজিক নিরাপত্তা বলয় আওতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন খাতে ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাজেটে শিক্ষা স্বাস্থ্য কৃষি উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এতে ব্যাপক কর্মসংস্থান ও পল্লী উন্নয়নে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন করা হলে স্বাভাবিক উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। তবে কোভিভ পরিস্থিতি ও ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি, খাদ্য পণ্য, পণ্যের কাঁচামালের মূল্য এবং ট্রান্সপোর্ট খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় সকল ধরনের দ্রব্যমূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা আগামী বাজেট বাস্তবায়নই বড় চ্যালেঞ্জ হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অনুৎপাদনশীল এবং অপ্রয়োজনে ভ্রমণ খরচ কমানোর পাশাপাশি বিলাসী পণ্য আমদানির নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এবারের বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে । যা গত বছরের চেয়ে ১২ দশমিক ১২ শতাংশ বেশি।

তিনি বলেন, কোনো বছরেই রাজস্ব আদায় সম্ভব হয় না। তারপরেও বেশি করে ধরা হয়। কর ব্যবস্থা সহজ ব্যবসা বান্ধব করার জন্য ইন্টিগ্রেটেড অটমেশন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা জরুরি। এ বিশাল আকারের রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি পূরণে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে এক লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু এই ঋণ ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ পড়বে। তাই ব্যাংক ব্যবস্থার পরিবর্তে বিদেশি উৎস হতে অর্থায়ন করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। যাতে বেসরকারি খাতের উপর চাপ না পড়ে।

বেসরকারি খাত বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন করে থাকে। তাই অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ধারাকে অব্যাহত রাখতে এ ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্যক্তি আয়কর সীমা ৪ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছিল । কিন্তু অর্থমন্ত্রী বাজেটে তা করেননি। আগেরটাই ৩ লাখ টাকা ঠিক রেখেছেন. এটা বর্তমান পেক্ষাপটে অযৌক্তিক। কারণ ভারতে ৫ লাখ রুপি পর্যন্ত আয়কর সীমা মুক্ত রেখেছে। তাই এটা সংশোধন করে চার লাখ টাকা করা দরকার, যোগ করেন তিনি।

জসিম উদ্দিন বলেন, ব্যাংকের সুদ কমালো হলে টাকা বালিশের নিচে রাখবে। মাটিতে পুঁতে রাখবে। তাই সুদের হার বাড়াতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবুসহ বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ নেতারা।