দেখা মিলল বিএম ডিপোর মালিকপক্ষের, প্রাণহানির ঘটনাকে ‘নাশকতা’ দাবি

SHARE

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ আগুন ও বিস্ফোরণের বহু প্রাণহানির ঘটনাকে নাশকতা বলে দাবি করেছেন বিএম কন্টেইনার ডিপোর কর্তৃপক্ষ।

ঘটনার তিন দিনের মাথায় সোমবার (৬ জুন) পুরো ঘটনাকে নাশকতা বলে দাবি করছেন তারা। তবে কারা এ নাশকতা ঘটিয়েছে, কিংবা কেনো ঘটিয়েছে তা তারা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।

ঘটনার পর থেকে বিএম কন্টেইনার ডিপোর মালিকপক্ষের দেখা মিলছিল না। বিশেষ করে ক্ষতিকর বিস্ফোরক হাইড্রোজেন পারক্সাইডে আগুনের সূত্রপাত। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসকে মূলতথ্য আড়াল করে ভুল তথ্যের কারণে বিস্ফোরণ এবং এতো হতাহতের ঘটনার পর মালিকপক্ষ গা ঢাকা দেয়।

তবে ঘটনার তিন দিনের মাথায় এসে কন্টেইনার ডিপোর মালিকানা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম স্মাট গ্রুপের কর্মকর্তারা পুরো ঘটনাকে নাশকতা বলে দাবি করছেন। এমনকি নিজেদের দায় স্বীকার করতেও রাজি নন তারা।

চট্টগ্রাম স্মাট গ্রুপের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, ২০১১ সাল থেকে আমরা আমদানি-রফনানি করে আসছি। এর আগেও অনেক ক্যামিকেল গেছে ও আসছে। এটা হঠাৎ করে কেন হলো আমরা বুঝতে পারছি না; সব আল্লাহ্‌ই জানেন! তবে আমরা নিশ্চিত যেখানে ৮০০/৯০০ কন্টেইনার পুড়েছে; এখনও পুড়ছে। তবে কন্টেইনার বিস্ফোরণ হচ্ছে কেন? এটাকে অবশ্যই নাশকতা মনে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

স্মাট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর অব. শামসুল হায়দার সিদ্দিকী বলেন, কি কি আইটেম আসছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই আমাদের ধারণা করতে হচ্ছে, এখানেও কোনো এক্সক্লুসিভ থাকতে পারে। তখনি যদি তারা বলে দিত তাহলে কাজটা সহজ হতো। গাফিলতি যদি থাকে তাহলে এটা তদন্ত করে বলাটা ভালো হবে।

এদিকে ঘটনাস্থল সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপো পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার বিকেলে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বহু হতাহতের ঘটনায় ডিপো কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি রয়েছে কি না অনুসন্ধান চলছে। কারো গাফিলতির অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত শনিবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলেও এখনো তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি। একে একে জ্বলছে রফতানিযোগ্য হাজার কোটি টাকার মালামাল। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নেভানোর কাজ করছে সেনাবাহিনীর বিশেষ দল।

আগুন এবং বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ-জেলা প্রশাসন এবং ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আলাদা তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো মামলা না হলেও ঘটনার বর্ণনা জানিয়ে জিডি করেছে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ।