আগামী অর্থছরের এডিপিতে বৈদেশিক ঋণ ৯৩ হাজার কোটি টাকা

SHARE

আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বৈদেশিক ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৯৩ হাজার কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরের এডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মেটানো হবে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেশনের ৯ হাজার ৯৩৭ কোটি ১৮ লাখ টাকার এডিপিও অনুমোদিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ মে) শেরে-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী ও এনইসির চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরে-বাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষ ও সচিবালয় মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় মোট প্রকল্প ১ হাজার ৪৩৫টি অন্তর্ভুক্ত কর হয়েছে। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ১ হাজার ২৪৪টি, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১০৬টি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ৮৫টি প্রকল্প।

খাতভিত্তিক সর্বোচ্চ বরাদ (১০টি)
পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার ৬৯৬ কোটি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩৯ হাজার ৪১২, শিক্ষায় ২৯ হাজার ৮১ কোটি, গৃহায়ণ ও কমিউনিটি সুবিধাবলী খাতে ২৪ হাজার ৪৯৭ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে ১৯ হাজার ২৭৮, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ১৬ হাজার ৪৬৫, কৃষি খাতে ১০ হাজার ১৪৪,পরিবেশ, জলবায়ু, পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ খাতে ৯ হাজার ৮৯৫, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবায় ৫ হাজার ৪০৭ এবং বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে ৪ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়।

মন্ত্রণালয়/বিভাগ ভিত্তিক সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১০টি খাত
স্থানীয় সরকার বিভাগে সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। এর পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ৩১ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগে ২৪ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রায় ১৬ হাজার ১১ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে প্রায় ১৫ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে প্রায় ১৪ হাজার ১২৯ কোটি টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে প্রায় ১৪ হাজার ১ কোটি টাকা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রায় ১১ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা, সেতু বিভাগে ৯ হাজার ২৯০, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রায় ৭ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।