ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে এডিবির সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

SHARE

ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশন-১) শিজিন চেন সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাতে এলে তিনি বলেন, ‘ডেল্টা প্ল্যান বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

২০১৮ সালে দেশের পানি সম্পদের ভবিষ্যত ব্যবহার সুরক্ষিত করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব প্রশমিত করতে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ হাতে নেয় সরকার।

সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়ন বাংলাদেশের জন্য ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এডিবির সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতা, কানেকটিভিটি, বাণিজ্য এবং জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়াতেও এডিবির সহায়তা চেয়েছেন তিনি।

উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক কানেকটিভিটি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কানেকটিভিটির উন্নয়নে বাংলাদেশের দরজা উন্মুক্ত।

দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রায় দুই বছর পর দেশের মানুষ মুক্তভাবে ঈদ উদযাপন করেছে।

ওই সময় করোনা মহামারিতে সহায়তা দেয়ায় এডিবির প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

আলোচনায় দেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা এবং ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় বিনা মূল্যে জমিসহ ঘর দেয়ার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তাদের জীবনমান উন্নত হয়েছে।’

করোনা মহামারির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট শিজিন চেন।

তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।’

অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশ ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শিজিন চেন।

তিনি বলেন, ‘এডিবি সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং গ্রাম ও নগর উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।’

কৃষি খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, এ খাতে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নতি করেছে।

বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ অঞ্চলগুলো অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা পূরণ করবে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে খাদ্যের অভাবের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার আরও বেশি খাদ্য উৎপাদনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

ওই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, এডিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (সাউথ এশিয়ান ডিপার্টমেন্ট) মনমোহন পরকাশ এবং বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং।