বিজেপির জয়ে আ. লীগ বিচলিত: ফখরুল

SHARE

রোববার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “সরকারের মন্ত্রীরা অনেকে বলছেন, ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ ও বিএনপি নাকি উল্লসিত হয়েছে। কোথায় দেখছেন তিনি এই উল্লাস। বরং এই নির্বাচনের ফলাফলের পর আপনারাই নাভার্স হয়ে নানা কথাবার্তা বলছেন। নার্ভাস না হলে কেন এতো কথাবার্তা বলছেন?”

ফখরুল বলেন, “আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশের জনগণ ভারতের নির্বাচনের ফলাফলে কোনোভাবে উল্লসিত নয়।”

fakhrul-islam

এর আগে শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক সভায় সৈয়দ আশরাফ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিজয়ে বাংলাদেশে যারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে তাদেরকে ‘আহাম্মক’ বলে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, “যারা বলেন- মোদি এসেছে, কংগ্রেস নাই, আওয়ামী লীগ থাকবে না। তাদের বলতে চাই, যাদের গণতন্ত্র সর্ম্পকে সামান্য ধারণা আছে তারা এটা বলতে পারেন না। যারা এগুলো বলেন, ফরেন পলিসি সম্পর্কে তাদের বিন্দুমাত্র জ্ঞান নেই।”

“যারা ভারতের নিঃশেষ দেখতে চায়, তারা মোদিকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। এটা নরেন্দ্র মোদি ভাল করেই জানেন, কারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।”

শুক্রবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শুরুর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানায় বিএনপি।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আগ্রাসন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ফারাক্কার লং মার্চের ৩৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘ভারতের কঠোর পানি আগ্রাসনের কবলে বাংলাদেশ: পরিত্রাণের উপায় ও আশ্র করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল বলেন, “ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তাদের সঙ্গে আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সুসর্ম্পক গড়ে তুলতে চাই। আমরা আশা করি, আজকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারতের নতুন সরকার বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার কথা অনুধাবন করে অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেবে।”

তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের ‘নতজানু ও দাসসুলভ’ নীতির কারণে বাংলাদেশের পানি সমস্যার সমাধান আনতে পারেনি। তারা (সরকার) সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারেনি। কারণ এই সরকার ভারতের ওপর নির্ভরশীল একটি সরকার।

উজানে ৫৪টি নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করে ভারতে বাংলাদেশের মানুষের জীবন-জীবিকায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।

গুম-খুনের জন্য সরকারকে অভিযুক্ত করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার পর সারা জাতি সোচ্চার হয়েছে। এরকম ঘটনা কেবল নারায়ণগঞ্জে নয়, গত তিন বছর যাবত সারাদেশে হয়ে আসছে।  বিরোধী দলকে নির্মূলের করার জন্য সরকার পরিকল্পিতভাবে র‌্যাবকে ব্যবহার করে এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। বিরোধী দল ও মতের নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছে।”

মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান এএইচএম কামরুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) সভাপতি খোন্দকার গোলাম মূর্তজা, ইসলামিক পার্টির সভাপতি আবদুল মোবিন, মহাসচিব এম এ রশীদ প্রধান, ন্যাপ এর মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, মুসলিম লীগের মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, আগ্রাসন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আলমগীর মজুমদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।