মাঠে ফিরেই ১৭ ছক্কায় রেকর্ডবুকে ঝড় স্টোকসের

SHARE

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে প্রায় দেড় মাস ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন ইংল্যান্ড নতুন টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস। বৃহস্পতিবার ডারহামের জার্সি গায়ে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন তিনি। তবে প্রথম দিন ব্যাট হাতে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি তার।

আজ (শুক্রবার) ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ব্যাট হাতে নামার সুযোগ পেয়েই রেকর্ডবুকে তোলপাড় করলেন সময়ের অন্যতম সেরা এ অলরাউন্ডার। উরস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৮ চার ও ১৭ ছক্কার মারে মাত্র ৮৮ বলে ১৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন স্টোকস। কাউন্টি ইতিহাসে এক ইনিংসে এতো ছক্কার নজির নেই আর কারও।

এই ঝড়ো ইনিংস খেলার পথে মাত্র ৬৪ বলে সেঞ্চুরি করেন স্টোকস। ডারহামের ইতিহাসে এটিই দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। বাঁহাতি স্পিনার জশ বেকারের ওপরই সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালিয়েছেন স্টোকস। তার করা ১১৭তম ওভারের প্রথম পাঁচ বলেই হাঁকান ছক্কা। শেষ বলটি হয় চার।

বেকারের করা প্রথম বল সোজা ছয় মারেন স্টোকস। পরের বলের ঠিকানা হয় মিড উইকেট সীমানার ওপারে, তৃতীয় বল লং অফ বাউন্ডারি দিয়ে, একই জায়গা দিয়ে হাঁকান চতুর্থ ছক্কা। পঞ্চম বলে লং অন দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ৬৪ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান স্টোকস।

তখন তার সামনে ছিলো ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকানোর বিরল রেকর্ডের হাতছানি। সেটি করতে পারেননি স্টোকস। শেষ বলে সজোরে হাঁকালেও চারের বেশি পাননি তিনি, হতাশায় নিজের প্যাডে ব্যাট দিয়ে আঘাত করতে দেখা যায় স্টোকসকে।

ওভারে ছয় ছক্কার রেকর্ড না হলেও বিশ্বের মাত্র পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে এক ওভারে পাঁচ ছক্কা হাঁকানোর কীর্তি গড়েছেন স্টোকস। তার আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এ কীর্তি গড়েছেন স্যার গ্যারি সোবার্স (ওভারে ছয় ছক্কা, ১৯৬৮), রবি শাস্ত্রি (ওভারে ছয় ছক্কা (১৯৮৫), ফ্র্যাংক হেইস (১৯৭৭) ও খালিদ মাহমুদ (২০০০)।

সবমিলিয়ে ১৬১ রানের ইনিংসে ১৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন স্টোকস। কাউন্টি ক্রিকেটে এতোদিন এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড ছিল অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস ও গ্রাহাম নেপিয়ারের দখলে। এ দুজনই হাঁকিয়েছিলেন সমান ১৬টি করে ছক্কা। তাদের ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছেন স্টোকস।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ইনিংসে স্টোকসের এই ১৭ ছক্কা বা এর চেয়ে বেশি ছয় হাঁকানোর রেকর্ড রয়েছে পাঁচজন ব্যাটারের। তারা হলেন- কলিন মুনরো (২৩ ছক্কা), শফিকউল্লাহ শিনওয়ারি (২০ ছক্কা), ভানুকা রাজাপাকশে (১৯ ছক্কা), নাজিব তারাকাই (১৯ ছক্কা) ও ওশাদা ফার্নান্দো (১৭ ছক্কা)।