করোনাভাইরাস : বিশ্বে একদিনে বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্ত

SHARE

করোনায় বিশ্বে দৈনিক মৃত্যু ও নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৭১৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে চারশো। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ লাখ ৬৫ হাজার ১৫১ জনে। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩ লাখ ৩২ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ কোটি ৪৫ লাখ ২৪ হাজার ৯০০ জনে।

বুধবার (৪ মে) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

গেল ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ২১৩ জন এবং মারা গেছেন ২৩৬ জন। করোনা শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৪৯ লাখ ৪৯ হাজার ৪০৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৩ জন মারা গেছেন।

দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৪০ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৮ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ২১ হাজার ৫৮১ জন মারা গেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় গত একদিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ২০ জন এবং মারা গেছেন ৪৯ জন। এনিয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৫৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২৩ হাজার ৭ জন মারা গেছেন।

ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয়। গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০৮ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২১ হাজার ৪৩২ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪ লাখ ৮২ হাজার ৮২৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭৬৫ জনের।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত একদিনে দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ২৩৫ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ৪০১ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৯ জন।