ছাত্রলীগ নেতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে গণধোলাই

SHARE

rahman ligযশোরে ছাত্রলীগের এক নেতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে গণধোলাই দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীদের কবল থেকে ওই নেতাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

ছাত্রলীগের ওই নেতা আহসানুল করিম ওরফে আবদুর রহমান জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সে শহরের খড়কী এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে।

জানা যায়, আবদুর রহমান ও তার কয়েকজন সঙ্গী এ বছর যশোর এমএম কলেজে বিভিন্ন বিভাগের অনার্সে ভর্তি করিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করার পরও রহমান এসব শিক্ষার্থীকে এমএম কলেজে ভর্তি করতে ব্যর্থ হয়।

ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের পাওনা টাকা চাইলে রহমান শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে নানা টালবাহানা শুরু করে। এবং পাওনা টাকা চাওয়ায় সে কয়েকজন অভিভাবককে দেখে নেয়ারও হুমকি দেয়।

সম্প্রতি এক ছাত্রী পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি কলেজ ক্যাম্পাসে ফাঁস হয়ে গেলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

এরপর গত শনিবার স্থানীয় এমপি কাজী নাবিল আহমেদ ক্যাম্পাসে আসছেন এমন খবর পেয়ে রহমান দলবল নিয়ে কলেজে যায়। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রহমানসহ তার ২/৩ ক্যাডারকে পাকড়াও করে গণধোলাই দিয়ে পাশে মেহগনি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি শিকদার অক্কাছ আলী বলেন, কলেজে ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা তার ওপর হামলা করেছে বলে শুনেছি।

অন্যদিকে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদ দাবি করেন, আহত রহমান এখনও সংগঠনের জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তাকে তিন মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল। সে সময় পার হওয়ায় রহমান স্বপদে বহাল হয়েছে।