‘এজেন্সি টু ইনোভেট’ আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন

SHARE

‘অথরিটি’ বাদ দিয়ে ‘এজেন্সি’ যুক্ত করে এটুআই (এজেন্সি টু ইনোভেট) আইন ২০২২-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের দেশ মধ্যম আয়ের দেশ হচ্ছে। ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার জন্য আমাদের এটুআই আইন-২০২২ প্রণয়ন করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এটা একটা এজেন্সি করে দেওয়া হবে। এটি ‘অথরিটি টু ইনোভেশন’ ছিল, কিন্তু মন্ত্রিসভায় আলোচনা করে পরে অথরিটি না দিয়ে এজেন্সি টু ইনোভেট হিসেবে দেওয়া হয়েছে। এখানে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট একটা পরিচালনা পর্ষদ থাকবে। তারা স্বায়ত্তশাসিত, মানে স্বনির্ভর থাকবে। পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি থাকবেন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া এজেন্সির একজন প্রধান নির্বাহী থাকবেন।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রধান নির্বাহীর নিয়োগ দিতে হবে ওপেন মার্কেট ফিগারে। তার পিএইচডি ডিগ্রি লাগবে, মাস্টার্স লাগবে আইটিতে বা বিভিন্ন আইটি বিজনেস সল্যুশনে। এ রকম কর্মকর্তা যারা থাকবেন, তাদেরকেও ওনারা বেতন নির্ধারণ করে নিবেন।

এজেন্সির কাজ কী হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নর উত্তরে এজেন্সির ৬টি কাজ থাকবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এর মধ্যে রয়েছে-

>> জনবান্ধব সেবার অবস্থার উন্নয়নে তথ্য ও প্রযুক্তি ভিত্তিক উদ্ভাবনী সংস্কৃতির বিকাশ এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা।
>> আইনের উদ্দেশ্য পূরণে প্রচলিত বিধি অনুযায়ী যে কোনো কর্মসূচি ও প্রকল্প গ্রহণ।
>> বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের আগ্রসর প্রযুক্তি সম্পৃক্ত দক্ষতা উন্নয়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রণোদনা এবং জনসচেতনতা ও চাহিদা সৃষ্টিতে সহায়তা প্রদান।
>> জনকল্যাণে প্রযুক্তি বিষয়ক উন্নত গবেষণা পরিচালনা এবং গবেষণায় উদ্ভাবিত কর্ম-সেবায় সহায়তা করা।
>> সরকার, শিল্প, শিক্ষা ব্যবস্থা ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশাসহ দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সেবা ও পরামর্শ প্রদান।
>> আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে এজেন্সিকে বৈশ্বিক মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এজেন্সি তাদের আয়-ব্যয়ের যথাযথ হিসাব সংরক্ষণ করবে এবং বার্ষিক অডিট করবে। সিএজি তাদের অডিট করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেবে।