চলচ্চিত্র একটি অমিত শক্তিশালী গণমাধ্যম: রাষ্ট্রপতি

SHARE

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, চলচ্চিত্র একটি অমিত শক্তিশালী গণমাধ্যম। চলচ্চিত্র মানুষকে আনন্দ দেয়, ইতিহাস-ঐতিহ্য, আশা-আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরে মানুষকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে। একটি ভালো চলচ্চিত্র মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটায়। মাটি ও মানুষের কথা বলে এবং মানুষের স্বপ্ন ও সাধনাকে সেলুলয়েডে বন্দি করে পর্দায় ফুটিয়ে তোলে।

বুধবার (২৩ মার্চ) ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০’ প্রদান উপলক্ষে আমি পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র শিল্পী, কলাকুশলী, নির্মাতা, প্রযোজক, পরিবেশক, দর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেশে সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ জোগাবে বলে আমার বিশ্বাস।

তিনি বলেন, চলচ্চিত্রের অপরিমেয় শক্তির কথা অনুধাবন করেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তদানীন্তন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রমমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে ১৯৫৭ সালের ২৭ মার্চ প্রাদেশিক পরিষদে ইপিএফডিসি বিল উপস্থাপন করেন। বিলটি সে বছরের ৩ এপ্রিল পাস হয়। জাতির পিতার এ উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বাংলা চলচ্চিত্রের অগ্রযাত্রার একটি বড় মাইলফলক হিসেবে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বিএফডিসি।

আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতার প্রদর্শিত পথ ধরে সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ৩ এপ্রিল ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস’, চলচ্চিত্রকে ‘শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা, কবিরপুরে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি স্থাপন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, বিএফডিসির আধুনিকায়ন ও জেলায় জেলায় আধুনিক সিনেপ্লেক্স সংবলিত তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, পুরোনো সিনেমা হলগুলোর সংস্কার ও বন্ধ সিনেমা হলগুলো চালু করার লক্ষ্যে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেওয়ার জন্য এক হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন, চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদানের পরিমাণ বাড়ানো ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে। আমি আশা করি, সরকারের এসব উদ্যোগ বাংলা চলচ্চিত্রের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। আমি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।