রাষ্ট্রপতির অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের সুযোগ নেই

SHARE

suronjit8বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে এসে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক দাবি করে বলেছেন রাজনৈতিক সংকট সমাধানে রাষ্ট্রপতির অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোন সুযোগ নেই।

তবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রুহুল আলম চৌধুরী বলেছেন সংকট সমাধানে খালেদা জিয়া সাত দফা প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন। সরকার সেটি না মানলেও তাদের সংলাপে বসেই একটি সমঝোতার পথ বের করতে হবে।

ঢাকায় বিয়াম মিলনায়তনে শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সংলাপের এ পর্বে এসব বিষয় ছাড়াও বাংলাদেশে মেয়েদের বিয়ের বয়স নিয়ে বিতর্কের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে।

সংলাপের এ পর্বে আরও আলোচক ছিলেন পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড: আহসান মনসুর এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন।

অনুষ্ঠানে দর্শকদের প্রশ্নের মধ্যে ছিল- চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে বিদেশী কুটনীতিকদের উদ্যোগ সফল হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু। কিংবা বাংলাদেশ কি খুব দ্রুত সিরিয়ার মতো একটি রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে? বা রাষ্ট্রপতির অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনই কি বর্তমান সংকটের একমাত্র সমাধান?

জবাবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন দেশের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

সিরিয়া বা সোমালিয়ার মতো পরিস্থিতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন তারপরেও আলোচনা চাইলে বিএনপিকে আগে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, কালই যদি বিএনপি যদি নিয়মতান্ত্রিক পথে ফিরে এসে আন্দোলন করে তাহলে সমস্যা থাকবে না। আর বিদেশীরা যেটি করছেন সেটি অব্যাহত থাকুক তাতে করে হয়তো একটা সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রুহুল আলম চৌধুরী বলেন বিদেশী উদ্যোগগুলোতে সমাধান হবে না, তবে এসব উদ্যোগ আলোচনার পথ প্রশস্ত করতে ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি বলেন সংকট সমাধানের একমাত্র পথ সংলাপ আর সেটি না হলে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের সম্ভাবনা কম।

তিনি বলেন, সমঝোতা হলে অনেক কিছুই পরিবর্তন হতে পারে। একটা প্রস্তাব দেয়া আছে। সরকার না মানতে পারে। কিন্তু সংলাপে বসেই সমাধান পেতে হবে এবং সেটি হতে হবে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন বলেন সংকট সমাধানে যে কোন পক্ষ থেকেই উদ্যোগ আসতে পারে এবং সেটিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালে নির্বাচন সামনে ছিল। এখন বিরোধী পক্ষ অনেক দিন আন্দোলন করে হত্যা ছাড়া আর অর্জন নেই। একটা পর্যায়ে তে যেতে হবে । আর কত? সেরকম অবস্থায় গেলে তাহলে যেকোনো উদ্যোগ সফল হবে।

অপর প্যানেল আলোচক পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান মনসুর বলেন বর্তমান সহিংস পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ সিরিয়ার মতো হবেনা কিন্তু সে ধরণের পরিস্থিতি যেন না হয় তা সব পক্ষকেই ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র স্থিতিশীল করতে হলে সংলাপ করতে হবে বিরোধী দল ও জনগণের সাথে। কিন্তু জনগণের যে অভিযোগ তা কি সরকার বা বিরোধী দল আমলে নিচ্ছে?

আরেকজন দর্শক জানতে জান মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮-ই থাকছে, তবে অভিভাবক চাইলে ১৬ বছর বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেয়া যাবে বলে আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। বিয়ের দু রকম বয়স কতটুকু যুক্তিসঙ্গত ?

জবাবে প্যানেল আলোচকদের সবাই একি ধরনের মতামত দিয়ে বলেন বিয়ের বয়স ১৮ রাখাটাই যৌক্তিক বলে তারা মনে করেন।- বিবিসি