নবম ওয়েজ বোর্ড সবার বাস্তবায়ন করা উচিত : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

SHARE

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ওয়েজ বোর্ড অনেকে বাস্তবায়ন করেছে, আবার অনেকে করেনি। নবম ওয়েজ বোর্ড শুধুমাত্র বিএসএস ও আর একটি প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন করেছে। এ বিষয়ে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন সোচ্চার আছে।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা-২০২২ এ তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, নবম ওয়েজ বোর্ড সবার বাস্তবায়ন করা উচিত। কারণ, এটি আইন। ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন না করে যারা হাইকোর্টে গেছে এবং হাইকোর্ট থেকে রায় নিয়ে এসেছে, সেগুলো নিরসন করে কিভাবে সবায় বাস্তবায়ন করে সে বিষয়ে আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে বসে একসঙ্গে কাজ করব।

হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হয়েছে। সেখানে মেজর কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গত ১৩ বছরে মানুষের আয় বেড়েছে সাড়ে ৪ গুন। আর ক্রয় ক্ষমতা নিম্ন আয়ের মানুষের বেড়েছে তিন গুন, মধ্যম আয়ের মানুষের বেড়ে হয়েছে কমপক্ষে দিগুণ। আমি ছাত্র রাজনীতি করার সময় স্লোগান দিয়েছি, শ্রমিকের মজুরি হতে হবে সাড়ে তিন কেজি চালের মূল্যের সমান। আজকে শ্রমিকের মজুরি কমপক্ষে ১২ কেজি চালের মূল্যের সমান। অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে।

বিএনপি নেতাদের না বলার রোগ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের পেনশনের দাবি বহুদিনের। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বজনীন পেনশনের ব্যবস্থা চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই পেনশনের আওতায় সবায় আসবেন। বিএনপির নেতারা সেটি নিয়েও সমালোচনা করছে। আসলে সব কিছু নিয়ে সমালোচনার যে বাতিক, সে বাতিক থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারছে না।

বিএনপির পরামর্শ নেওয়া হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন সেখানে আপনাদের কোনো সাজেশন থাকলে বলুন। ভালো সাজেশন অবশ্যই নেওয়া হবে। প্রত্যেকটি ভালো উদ্যোগের কেন সমালোচনা? না বলার যে রোগ পেয়ে বসেছে, সে রোগ থেকে তাদের বের করা যাচ্ছে না। আমরা আশা করব এই ‘না’ বলা রোগ থেকে তারা মুক্তি পাবে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম।