বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ থাকার জন্য জন্ম নিয়েছে : আইনমন্ত্রী

SHARE

বাংলাদেশ গাঙ্গে ভেসে আসেনি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ থাকার জন্য জন্ম নিয়েছে। রাজাকার, আলবদর বা তাদের প্রশ্রয়ে যদি কেউ ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের জনগণ তার সঠিক প্রতিউত্তর দিবে।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কসবা ইউনিট অফিস কাম ট্রেনিং সেন্টার এবং আনসার সদস্যদের জন্য নির্মিত ব্যারাক হাউজ উদ্বেধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, রিসার্স ইন্সটিটিউটের গবেষণার জন্য দেশে উৎপাদন বেড়েছে। স্বাধীনতার পূর্বে সাড়ে সাত কোটি মানুষ ছিল তারপরও অনাহারে মানুষ মারা যেত। কিন্তু আজকে বাংলাদেশে ১৮ কোটি জনগণ থাকার পরও অনাহারে কেউ মারা যায়নি। খাদ্যে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। তা জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যার উন্নয়নের সুফল। তিনি নির্মিত এসকল প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের যথাযথ ব্যবহারের আহ্বান জানান।
আইনমন্ত্রী স্থানীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা সকলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ঐক্যবদ্ধ থাকব। আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ, ভাগাভাগি থাকবে না। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, কসবা-আখাউড়ার মানুষের স্বাধীনতার যুদ্ধে অবদানের কথা ভুলে গেলে চলবে না। যুদ্ধে এখানে অনেক মানুষ শহীদ হয়েছেন। তাদের রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে হবে। যেই সোনার বাংলার স্বপ্ন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন তা বাস্তবায়ন করতে পারলেই এই রক্তের ঋণ শোধ হবে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসলে মাদক নির্মূল করতে হবে। তিনি মাদক ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মাদকে বাংলাদেশের ভবিষৎ নষ্ট হয়ে যাবে আর আমরা তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখব তা হবে না। মাদক নির্মূলে যেই পুলিশ কর্মকর্তা ব্যবস্থা নিবে না তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও ছাত্রসমাজকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা পুলিশ ও বিজিবি’কে সাথে নিয়ে মাদক নির্মূলে কাজ করুন।

তিনি আরো বলেন, আপনারা চেয়েছিলেন ইউপি নির্বাচন দলীয় প্রতীকবিহীন উন্মুক্ত হউক, আমি তা করে দিয়েছি। ইভিএম এ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। ইউপি নির্বাচনে কোন পক্ষপাতিত্ব হয়নি। কসবা-আখাউড়ার অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে কেবলমাত্র আমি কসবা পশ্চিম ইউনিয়নে ছায়েদুর রহমান মানিকের পক্ষে ভোট চেয়েছিলাম। অন্য কোথাও আমার পছন্দের প্রার্থী ছিল না। এই নির্বাচনে আপনারা আমার সম্মান রক্ষা করেছেন, সেজন্য আমি আপনাদের নিকট কৃতজ্ঞ।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম এর সঞ্চালনায় ব্রাহ্মণাবড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, আইনসচিব গোলাম সারোয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, চাঁদপুর-কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেচ এলাকার প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রবিউল হক মজুমদার, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র এম জি হাক্কানী, কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আজহারুল ইসলাম, রুহুল আমিন ভূইয়া, কসবা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী, কসবা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজেরা বেগম, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন, কসবা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগ আহ্বায়ক আফজাল হোসেন প্রমুখ।

এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, কসবা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সুধিজন উপস্থিথ ছিলেন।