করোনা টিকার বুস্টার ডোজে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্না

SHARE

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে ৬০ বছরের বেশি ও করোনায় সম্মুখ সারীর যোদ্ধাদের দেওয়া হচ্ছে তৃতীয় ডোজের (বুস্টার) টিকা। শুরু থেকে এ পর্যন্ত বুস্টার ডোজে ফাইজার দেওয়া হলেও এখন সেটি পরিবর্তন করে মডার্নার টিকা দেওয়া হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমে দেশের সব পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রাপ্তি সাপেক্ষে তৃতীয় ডোজ/বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্না কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

এক্ষেত্রে ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন শুধুমাত্র স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের (১২-১৭ পূর্ণ বছর বয়সী) উভয় ভোজ এবং যারা প্রথম ডোজ হিসেবে ফাইজার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ সংরক্ষণের বিষয়ে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সদয় অনুমোদনক্রমে পত্রটি সব বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (সকল) পরিচালক, সব সরকারি জেনারেল হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতালের উপপরিচালক/তত্ত্বাবধায়ক/সুপারিন্টেনডেন্ট, সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

গত ২৮ ডিসেম্বর সারাদেশে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং যারা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে আছেন, তাদের করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পরে তারা বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় ডোজ নিতে পারবেন।

যে আগে যে হাসপাতাল থেকে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, সেই হাসপাতাল থেকে তার মোবাইলে বুস্টার ডোজের তারিখ জানিয়ে এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। সেই কেন্দ্রে নির্ধারিত দিনে গিয়ে তৃতীয় ডোজ নিতে হচ্ছে।

দেশে এখন প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাকের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার, মডার্না অথবা অ্যাস্ট্রাজেনেকা দেওয়ার সুপারিশ করেছে ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল কমিটি-নাইট্যাগ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, বুধবার পর্যন্ত সারাদেশে ৫ লাখ ৪০ হাজার ৫২৬ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।