‘জ্বালানি রূপান্তরের প্রেক্ষাপট বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে’

SHARE

জ্বালানি রূপান্তরের প্রেক্ষাপট বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকায় রেডিসন হোটেলে ইনভেস্টমেন্ট সামিটে ‘বিদ্যুৎ জ্বালানি এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ শীর্ষক সেশনে তিনি এ কথা বলেন।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজন হবে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায়ও ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

বর্তমান সরকার কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে ক্লিন ও গ্রিন এনার্জি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ২০৩০ সাল নাগাদ ৪৯ শতাংশ গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করে সেখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রিন টেকনোলজির ব্যবহার বাড়ানোকে লক্ষ্য ধরে হালনাগাদ করা হচ্ছে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান। ইলেকট্রিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোকেও উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে দুই কোটি মানুষকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে। সোলার ইরিগেশন, সোলার মিনি গ্রিড, বায়ুবিদ্যুৎ, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, হাইড্রোজেন ফুয়েল নিয়ে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন। ক্লিন জ্বালানির প্রতি প্রথমেই গুরুত্ব দেওয়া হবে। গ্যাস-তেল অনুসন্ধানে কার্যক্রম বাড়ানোর উদ্যোগ অব্যাহত রাখা আবশ্যক বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসর’স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপপা) প্রেসিডেন্ট ইমরান করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন-আইএফসি’র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের শিল্প অবকাঠামো ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের প্রধান ইসাবেল চ্যাটারটন, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান, সিংগাপুরের সেম্বকর্পের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল তুলি, বাংলাদেশস্থ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইডিমন গিনটিং ও বাংলাদেশস্থ শেভরনের প্রেসিডেন্ট ইরিক এম ওয়াকার।