মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

SHARE

জমিসংক্রান্ত এক মামলায় আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আজ বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মেয়র জাহাঙ্গীর ছাড়া বাকি তিনজন হলেন- জয়দেবপুরের পাইনশাল গ্রামের আলফাজ, পশ্চিম ডগরী গ্রামের হারুনুর রশিদ ওরফে ঠাণ্ডু ও বি কে বাড়ী গ্রামের ফজলুল হক।

আদালতের এ আদেশ স্পেশাল মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

১৫ দিন আগে জমিসংক্রান্ত এক মামলায় আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।

আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ জানান, গাজীপুরের সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের একটি জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দখলে থাকা ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট করেন। তখন হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা দেন। সেই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আবেদনকারীরা জমি আগের মতো ব্যবহার করে আসছিলেন। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও তার লোকজন ওই জমি নিজের বলে ব্যবহারে বাধা দেন। এই অবস্থায় মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আবেদন করেছেন আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। আবেদনটি আজ আদালতের কার্যতালিকায় রয়েছে।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে গোপনে ধারণ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

গত ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।