রোনালদো নৈপুণ্যে নকআউট পর্বে ম্যানইউ

SHARE

চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাতে শুরু থেকে নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে ম্যাচের ৭০তম মিনিটের পর থেকে এ তারকা ফেরেন স্বরুপে। তাই মুহূর্তেই যেন বদলে গেল সব। প্রতিপক্ষের ভুলকে পুঁজি করে দলকে পথ দেখালেন পর্তুগিজ তারকা। শেষে গিয়ে মিলল আরেক গোল। এরফলে ভিয়ারিয়ালকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে উঠল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

প্রতিপক্ষের মাঠে মঙ্গলবার গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে ম্যানইউ। রোনালদোর গোলের পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জেডন স্যানচো।

মঙ্গলবার ম্যাচের শুরুতে নিজেদের ঠিক মেলে ধরতে পারেনি ম্যানইউ। যে কারণে শুরুতেই দলটি পড়তে যাচ্ছিল বিপদে। স্কট ম্যাকটমিনের ভুলে ভিয়ারিয়ালের মোই গোমেজ বল ধরে জোরালো নিচু শট নেন, ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়া। এদিকে ২৭তম মিনিটে হঠাৎ ওঠা প্রতি-আক্রমণে এগিয়ে যেতে পারতে ভিয়ারিয়াল। তবে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার মানু ত্রিগুয়েরোসের শট ঝাঁপিয়ে এক হাত দিয়ে ফিরিয়ে দেন দে হেয়া। প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিটেও ভালো দুটি আক্রমণ করে স্প্যানিশ দলটি, তবে দে হেয়াকে আর ভাবাতে পারেনি তারা।

দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ নষ্ট করে ম্যানইউ। সে সময় ফ্রেদের শটে বল সরাসরি যায় গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলির হাতে। পাঁচ মিনিট পর আবারও দে হেয়ার নৈপুণ্যে বেঁচে যায় ইউনাইটেড। গোমেজের শট প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে বল যায় ত্রিগুয়েরোসের পায়ে। তার জোরালো শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক।

৭১তম মিনিটে স্যানচোরর কোনাকুনি শট পা বাড়িয়ে ঠেকিয়ে দেন রুলি। এরপর আচমকাই যেন গতি ফিরে পায় ইউনাইটেড। সাত মিনিট পরই প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগে এগিয়ে যায় তারা। বল ছিল রুলির পায়ে, কোনো হুমকিই ছিল না। কিন্তু সতীর্থ এতিয়েনে কাপুর উদ্দেশ্যে দুর্বল পাস দিলেন তিনি। পাশে ফ্রেদের চ্যালেঞ্জে ঠিকমতো বল পায়ে নিতে পারলেন না কাপু। ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে আগুয়ান গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে ঠিকানায় বল পাঠালেন পর্তুগিজ তারকা।

ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতাটিতে চলতি আসরে পাঁচ ম্যাচেই জালের দেখা পেলেন রোনালদো, গোল হলো ৬টি। টুর্নামেন্টে সব মিলিয়ে রেকর্ড স্কোরারের গোল সংখ্যা বেড়ে হলো ১৪০টি।

নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে সব অনিশ্চয়তার ইতি টানেন স্যানচো। মিডফিল্ডার ব্রুনো ফের্নান্দেসের ছোট পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে জোরালো শটে কাছের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন তরুণ ইংলিশ ফরোয়ার্ড।

এ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ‘এফ’ গ্রুপের শীর্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ভিয়ারিয়াল।