মাহমুদউল্লাহ ম্যাজিকের পরও হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

SHARE

শেষ ওভারে সবাইকে অবাক করে নিজ হাতে বল তুলে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। কে জানত এটি হয়ে যাবে এক অবিশ্বাস্য ওভার। প্রথম তিন বলে ২ উইকেট নিয়ে খেলার উত্তাপ বাড়িয়ে দেন রিয়াদ। তবে এর পরই মাঠে এসে নিজের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান ইফতেকার আহমেদ। তবে পঞ্চম বলেই আবার উইকেট পান মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু শেষ বলে নাওয়াজ চার মেরে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন।

এদিকে ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশের মতো কচ্ছপের গতিতে এগোতে থাকে বাবর আজমের দল। তবে ১২ তম ওভার থেকেই মারমুখি হয়ে খেলতে থাকে ক্রিজে সেট হয়ে খেলা হায়দার আলি এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাদের ৫১ রানের জুটিই বাংলাদেশের হাত থেকে খেলা নিজেদের করে নেয় পাকিস্তান। পাকিস্তানের হয়ে রিজওয়ান করেছেন ৪০ রানের ইনিংস। এছাড়াও হায়দার আলি করেছেন ৪৫ রান। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন শহিদুল এবং আমিনুল ইসলাম। আর মাহমুদউল্লাহর নাটকীয় শেষ ওভারে ৩ উইকেট তুলে নেন।

এদিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচের মতো তৃতীয় ম্যাচেও ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। টি-টোয়েন্টিতে ওয়ানডে সুলভ ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানের সংগ্রহ করেছে মাহমুদউল্লাহর দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন নাইম। বল খেলেছেন ৫০টি। পাকিস্তানের লক্ষ্য ১২৫ রান।

এদিকে ম্যাচের শুরুতে ভাল শুরু করেও ধীর গতিতে রান নিতে থাকে নাইম ও শান্ত। রানের গতি বাড়াতে হাত খুলে সট খেলতে গিয়ে কাদেরের বলে ২২ রান করে ক্যাচ আউট হন শামিম হোসেন। এরপর সেই কাদেরের বলেই ২০ রানে আউট হন আফিফ। নিজের অর্ধশত পুরনের জন্য সট খেলতে পাকিস্তানের তরুণ বোলার ওয়াসিমের বলে ক্যাচ আউট হন নাইম। শেষের দিকে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ১৩ রানের ওপর ভর করে ৭ উইকেটে ১২৪ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা।

এদিকে আজও টস জেতে মাহমুদউল্লাহ। টসে জিতে আবারও ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বাংলাদেশ একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফ হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। ফর্মের কারণে বাদ পড়েন সাইফ। চোটের কারণে নেই শরিফুল ও মুস্তাফিজ। ফলে দলে ফিরেছেন নাসুম আহমেদ ও শামীম আহমেদ। টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে পেসার শহিদুল ইসলামের।