বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমল ৩ শতাংশ

SHARE

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ৩ শতাংশ। শুক্রবার জ্বালানি তেলের দর ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলারে নেমে এসেছে।

এর আগে, ব্যারেলপ্রতি দাম ৮৫ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ইউরোপজুড়ে আবারও করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এমনতেই কমার সম্ভাবনা ছিল। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সংরক্ষিতি তেল বাজারে ছাড়তে শুরু করায় কমেছে তেলের দাম।

গত দেড় মাস ধরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ছিল বাড়তি। এর প্রভাব পড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ওপরও। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সংরক্ষিত তেল বাজারে ছাড়ায় আবারও কমতে শরু করেছে তেলের দাম। বর্তমানে তেলের দাম প্রায় তিন শতাংশ কমে ব্যারেল প্রতি ৮০ মার্কিন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।

কিছুটা পরিশোধিত তেলের দাম ২ দশমিক ৩৫ ডলার কমে জানুয়ারি নাগাদ ৭৮ দশমিক ৮৯ ডলার নির্ধারিত হয়েছে।

ডিসেম্বরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট-ডব্লিউটিআই এর অপরিশোধিত তেলের দাম ২ দশমিক ৯১ ডলার কমে ৭৬ দশমিক ১০ ডলার নির্ধারিত হয়েছে। জানুয়ারির জন্য ডব্লিউটিআই ২ দশমিক ৬৫ ডলার কমিয়ে ৭৫ দশমিক ৭৮ ডলার ধরা হয়েছে।

টানা চার সপ্তাহ পরিশোধিত এবং কিছুটা পরিশোধিত তেল-দুই ধরনের তেলেরই দরপতনের ঘটনা ঘটেছে। ২০২০ সালের মার্চের পর এমন ঘটনা এই প্রথম।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে বৈশ্বিক জ্বালানি তেল সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় বাইডেন সংরক্ষণ করা তেল বাজারে ছাড়তে শি জিনপিংকে অনুরোধ জানান। এরপরই লাখো ব্যারেল তেল বাজারে আসে।

এদিকে ইউরোপজুড়ে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বৈশ্বিক অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর গতি কিছুটা কমে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। এমন পরিস্থিতিতে তেলের দাম স্থিতিশীল করতে বিনিয়োগকারীরা চাচ্ছেন অপরিশোধিত তেলের বড় মজুদকারী দেশগুলো যেন নিজেদের কাছে থাকা তেল ছেড়ে দেওয়া শুরু করে।

তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের সিদ্ধান্তে গত অক্টোবরে তেলের দর বাড়ানো হয়। তারা আগের লোকসান তুলে আনতে জ্বালানি তেলের উত্তোলন কমিয়ে দেয়। এছাড়া করোনার সংক্রমণের কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে বাড়ে মূল্যস্ফীতির চাপ।