বিএনপিকে কোন আশায় মানুষ ভোট দেবে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

SHARE

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পলাতক আসামি যে দল চালায়, তাদের কী আশায় ভোট দেবে মানুষ? বিএনপিকে কেন মানুষ ভোট দেবে? এরা দেশের গরিবের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে।

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যতই ভালো কাজ করি না কেন বিদেশে বসে কিছু লোক দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। এদের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে। অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে। কিছু মানুষ মিটিং করছেন কী করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানো যায়। তবে জনগণের শক্তিই আওয়ামী লীগের শক্তি। আমরা জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের দাবির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কিছু মানুষ আছে যারা হাজার অপরাধ করলেও অপরাধী হিসেবে দেখে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেও দুর্নীতির জন্য সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষ নেয়। যারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে এবং এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে, তাদের জন্যই মায়াকান্না করছে।

শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে তাকে হত্যাপ্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে বলেন, খালেদা জিয়ার টার্গেট সব সময় আমি। খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছিলেন- আমি প্রধানমন্ত্রী কেন, বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারব না। শত বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারব না। তার এসব ঘোষণার পরই আমার ওপর হামলা চালানো হলো। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হলো।

তিনি বলেন, পলাতক আসামি যে দল চালায়, তাদের কী আশায় ভোট দেবে মানুষ? বিএনপিকে কেন মানুষ ভোট দেবে? এরা দেশের গরিবের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। বিদেশে আরাম-আয়েশে আছে। গরিবের ধনসম্পদ চুরি করে অর্থসম্পদের মালিক হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজামণ্ডপ এবং মন্দির ও বাড়িতে সাম্প্রদায়িক হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও প্রাণহানির ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, একজন মুসলমান হয়ে কীভাবে হনুমানের সামনে কোরআন শরীফ রেখে কোরআন শরীফের অবমাননা করে? এদের পেছনে কারা ছিল, সব তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

টানা তিন মেয়াদে দেশ ও জাতির কল্যাণে তার সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে এসে গেছে। আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করছি। উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষই উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে। বিশ্বের বুকে উন্নয়নে বাংলাদেশ এক বিস্ময়।

প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর তার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ নেতারা বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন।