মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা সিভিএফ দেশগুলোকে পথ দেখাবে: পুতুল

SHARE

মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা সিভিএফ (ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম) দেশগুলোর জন্য আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে। এটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার পথ দেখাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের শুভেচ্ছা দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল।

বুধবার (৩ নভেম্বর) গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন তিনি। এসময় বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের কাছে মুজিব ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বলেন, আমরা যদি এই পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারবো। আমরা এই পরিকল্পনা তৈরি করতে গিয়ে অনেক শ্রম দিয়েছি। এটা অন্য দেশগুলো ফলো করলে আমরা বিশ্বাস করি তারাও নিজেদের রক্ষা করতে পারবে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যে সহনশীলতা দেখানো দরকার সেটা সফলতার সঙ্গে দেখাতে সক্ষম হয়েছে।

মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার লক্ষ্য কী? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা আগামী এক দশকের পরিকল্পনাকে সামনে নিয়ে করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করার বিষয়টি বলা হয়েছে। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড-১৯ এর আঘাত সামলাতে পারবো। কোভিড-১৯ এর কারণে আমাদের প্রবৃদ্ধি অর্জনে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়া যাবে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায়।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমরা জীবন, সম্পদ, ঘর বাড়ি হারাচ্ছি। এছাড়া অনেকে ঘরবাড়ি হারিয়ে জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়ে জীবন যাপন করছে।

তিনি আরও বলেন, মুজিব প্রোসপারেটিভ ক্লাইমেট পরিকল্পনা তালিকা বন্ধ হয়েছে। বিশ্ব নেতাদের কাছে এই পরিকল্পনা প্রশংসিত হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন করা গেলে এসডিজি বাস্তবায়নে অনেক এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীরা হুমকির মুখে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করে কীভাবে টিকে থাকতে হবে আমাদের সেই পথ বের করতে হবে। এর সব সমাধান মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় রয়েছে। এই ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পটি সবুজ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান এবং কোভিড-১৯ সংকট পরবর্তী প্রভাব মোকাবিলায় এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ক্লাইমেট ভালনেরবল ফোরামের সদস্য ৪৮টি দেশ বিশ্বের মোট পরিমাণের মাত্র ৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব আমাদের জীবন ও জীবিকার জন্য মৌলিক হুমকি সৃষ্টি করেছে।