তথ্যপ্রযুক্তিতে ২০ লাখ কর্মসংস্থান হয়েছে : অর্থমন্ত্রী

SHARE

তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দেশে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ) ২০২১’ এর সমাপনী এবং অ্যাওয়ার্ড বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য দেন। বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০ বছর আগে ফেসবুক, উবার, এয়ার-বিএনবি, টুইটার, লিঙ্কডইন, টেসলা বা ড্রপবক্সের মতো আমেরিকান প্রযুক্তি সংস্থাগুলো ছিল না। এমনকি মাত্র ২১ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল গুগল। এই সব কোম্পানি মাত্র কয়েক বছরে শত শত বিলিয়ন, এমনকি ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এই প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো সার্ভিস সেক্টরে বিপ্লব ঘটিয়েছে। ঐতিহ্যবাহী অনেক কোম্পানির বাজার দখল করে নিয়েছে শুধু মাত্র তারুণ্যের উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে।

তরুণরা প্রতিভাবান এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই তরুণরা জীবনে চলার পথে সব সমস্যাকে সম্ভাবনায় পরিণত করে এগিয়ে যাবে। শুধু শহরে নয়, গ্রাম পর্যায়ে ডিজিটাল সুবিধা পৌঁছে গেছে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশে দুই হাজার ৫০০টির বেশি স্টার্টআপ কাজ করছে। এগুলো আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশে বর্তমানে ৪০টিরও বেশি এক্সেলেরেটর এবং ইনকিউবেটর প্রোগ্রাম তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্টার্টআপদের মাধ্যমে ১৫ লাখের বেশি মানুষের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আব্দুল মান্নান, আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক ও যুগ্মসচিব মো. আব্দুর রাকিব প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘বিগ-২০২১’ প্রতিযোগিতায় দেশ-বিদেশের সাত হাজারের বেশি স্টার্টআপ আবেদন করে। কয়েক দফা নির্বাচন শেষে এর মধ্যে ৪৬টি স্টার্টআপ গ্র্যান্ড ফিনালেতে অংশ নেয়। যার মধ্যে ওপেনরিফ্যাক্টরি স্টার্টাপ প্রথম হয়ে জিতে নেয় এক লাখ ডলার।

দেশীয় সেরা ২৬ স্টার্টআপ হলো

টিঙ্কার’স টেকনোলজিস লিমিটেড, বণ্টন কানেক্ট, র্যাডএসিস্ট, বইঘর, অলওয়েল বিডি লিমিটেড, ল্যান্ডনক লিমিটেড, ইনোভেইস টেকনোলজিস, লাইফস্প্রিং কন্সালটেন্সি লিমিটেড, আইডিয়া থ্রি-ডি সলিউশনস, ক্যাপ্টেন আর্থ, ওপেনরিফ্যাক্টরি, আপস্কিল, সাইকিওর অর্গানাইজেশন, প্লাস্টাইল, ব্রেইলি টেক লিমিটেড, ইনক্লুশন এক্স, স্মার্ট হোয়াইট কেইন, ডিঙ্গি টেকনোলজিস লিমিটেড, ঘোস্ট কিচেন বাংলাদেশ, অ্যান্টস এরিয়াল সিস্টেমস, আলো, সাইনটিকো ডটকম, খেলবেই বাংলাদেশ, জোবাইক, অনলাইন সহপাঠী ও রোবোল্যাব।

আন্তর্জাতিক সেরা ১০টি স্টার্টআপ হলো

থার্মো নর্থ, মাই ক্যাশ মানি পিটিই লিমিটেড, এগ্রোভিজিও, ইঙ্ক স্পায়ার্ড, ডব্লিউটিম, সোসো কেয়ার, গ্র্যান্ট মাস্টার, বায়ো মেক, ইভরেকা, কেয়ার ফর্ম ল্যাবস প্রাইভেট লিমিটেড।

আইডিয়া প্রকল্পের সেরা ১০টি স্টার্টআপ হলো

অল্টারইয়ুথ, অক্সিজেট, ব্লাডম্যান, ভূমিজো লিমিটেড, জাহাজী লিমিটেড, বাইক লক, দ্যা টু আওয়ারস্ জব, গারবেজম্যান লিমিটেড, অভিযাত্রিক, স্বাধীন মিউজিক।