মুক্তি পাননি আরিয়ান

SHARE

নির্ধারিত সময়ে জামিনের কাগজপত্র জেলে পৌঁছয়নি। তাই আজও মুক্তি পাননি বলিউড সুপার স্টার শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান।

আগামীকাল শনিবার আরিয়ান খান মুম্বাইয়ের আর্থার রোডের কারাগার থেকে তিনি শাহরুখ-গৌরির বাড়ি মান্নতে ফিরতে পারবেন বলে আশা করছেন আইনজীবীর।

কারা কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আরিয়ানের জামিনদার হয়েছেন শাহরুখের দীর্ঘ দিনের সহ অভিনেত্রী জুহি চাওলা। এক লাখ রুপির বন্ডে সই করেন তিনি। বৃহস্পতিবার আরিয়ানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে মুম্বাই হাইকোর্ট। তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পর আরিয়ানের জামিন আবেদন মঞ্জুর হয়।

এর আগে দুইবার আরিয়ানের জামিন আবেদন নাকচ করে আদালত। বারবার জামিন আবেদন নাকচ করার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য জড়িত বলে বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ আসছিল। বলিউডের অনেক তারকাও শাহরুখপুত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অবশেষে আদালত আরিয়ানের জামিন মঞ্জুর করেন।

বৃহস্পতিবার (২৮শে অক্টোবর) আরিয়ান খানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ হাইকোর্ট দীপাবলির ছুটির জন্য বন্ধ থাকবে। তাই গতকাল জামিন না পেলে আরিয়ানকে ১৫ই নভেম্বর পর্যন্ত আর্থার রোড জেলেই থাকতে হতো।

আরিয়ানের আইনজীবী আদালতের কাছে শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন যে আরিয়ানের গ্রেপ্তার সম্পূর্ণ বে-আইনি। বৃহস্পতিবার সবার নজর ছিল যে এনসিবি তাদের ঝুলি থেকে নতুন কী তথ্যপ্রমাণ বের করে।

এনসিবি’র আইনজীবীরা এই মামলা সম্পর্কিত সব তথ্যপ্রমাণাদি আদালতের সামনে পেশ করে। তারা প্রথমেই আদালতকে জানিয়েছেন যে আরিয়ান দুই বছর ধরে বড় মাত্রায় মাদক সেবন করছেন। আর বিদেশি মাদক সরবরাহকারীদের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে।

এমন কি শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে ব্যবসায়িকভাবে মাদক আদান-প্রদানে শামিল থাকার অভিযোগ এনে এনসিবির আইনজীবীরা ২৮এ ধারা প্রয়োগ করেন। তাদের হাতে বড় প্রমাণ হিসেবে ছিল আরিয়ান আর অনন্যা পান্ডের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও। এই চ্যাটগুলোতে গাঁজার কথা উল্লেখ আছে।

এদিকে এই মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সাইল জানিয়েছিলেন যে, শাহরুখের ব্যবস্থাপক পূজা দদলানি সাক্ষীদের সঙ্গে দেখা করে তাদের প্রভাবিত করছেন। যদিও আরিয়ান তার হলফনামায় জানিয়েছেন যে তারা কোনো সাক্ষীকে প্রভাবিত করেননি। আর তার এই মামলার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই।