মার্সেইয়ের মাঠে ড্রয়ের স্বস্তি তারকাসমৃদ্ধ পিএসজির

SHARE

নেইমার ফেরায় পূর্ণ শক্তির আক্রমণভাগ নিয়ে মাঠে নামল পিএসজি। সঙ্গে আনহেল দি মারিয়া থাকায় আক্রমণে যোগ হলো বাড়তি রসদ। দারুণ কিছু সুযোগও তৈরি করল তারা; কিন্তু পারল না ব্যবধান গড়ে দিতে। উল্টো ১০ জনের দলে পরিণত হয়ে চাপে পড়ে তারা। শেষের অনেকটা সময় রক্ষণ আগলে রেখে মূল্যবান একটি পয়েন্ট নিয়ে ফিরল পিএসজি।

লিগ ওয়ানে ডার্বি ম্যাচে রোববার রাতে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে গোলশূন্য ড্র করে ফিরেছে পিএসজি।

ম্যাচে মার্সেই বল দখলে একটু পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে এগিয়ে ছিল তারা। তবে সবই প্রায় লক্ষ্যহীন। গোলের উদ্দেশ্যে তাদের ১৫ শটের মাত্র একটি ছিল লক্ষ্যে। আর পিএসজির ১০ শটের চারটি লক্ষ্যে।

চেনা আঙিনায় প্রথম পাঁচ মিনিটেই দুটি সুযোগ পায় মার্সেই। কিন্তু পারেনি কাজে লাগাতে। এরপর শুরু হয় পিএসজির মুহুর্মুহু আক্রমণ।

ত্রয়োদশ মিনিটে নেইমারের গোলমুখে বাড়ানো বল এমবাপের পায়ে যাওয়া ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়ান ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার লুয়ান পেরেস। খানিক পর পিএসজির জালে বল পাঠিয়ে উল্লাসে মাতেন মার্সেইয়ের আর্কিদিউস মিলিক। তবে ভিএআরে তাদের আনন্দও মাটি হয়ে যায়; বাজে অফসাইডের বাঁশি।

পরের ১৫ মিনিটে একচেটিয়া চাপ ধরে রেখে অনেক সুযোগ তৈরি করে পিএসজি। কিন্তু ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় বারবার হতাশ হতে হয় দলটির তারকাসমৃদ্ধ আক্রমণভাগকে। ২৬তম মিনিটে কাছ থেকে মেসির লাফিয়ে নেওয়া হেড কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক। এরপর এমবাপের দুটি শট প্রতিহত হয়।

দ্বিতীয়ার্ধের দ্বাদশ মিনিটে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায় পিএসজি। ডি-বক্সের মুখে প্রতিপক্ষের উইঙ্গার উন্দেরকে পেছন থেকে ফেলে দিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি। এতে জমজমাট লড়াইয়ে সফরকারীদের রক্ষণ কিছুটা উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।

সেই সুযোগে দারুণ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে মার্সেই। কিন্তু মিলছিল না জালের দেখা। ৬৫তম মিনিটে দিমিত্রি পায়েতের ক্রসে ভেঁলোতার হেড একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের ১২ মিনিটে আরও তিনটি ভালো সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারেনি তারা।

৮৩তম মিনিটে মেসির মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো থ্রু বল খুঁজে পায় এমবাপেকে। ডি-বক্সে প্রায় ঢুকেই পড়েছিলেন ফরাসি তারকা, দারুণ ট্যাকলে দলকে বিপদমুক্ত করেন স্বাগতিকদের এক ডিফেন্ডার। বাকিটা সময়ে পিএসজি খেলার গতি কমিয়ে দেয়, যেন একটি পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট তারা।

আসরে প্রথম আট ম্যাচের সবকটি জয়ের পর এই নিয়ে শেষ তিন রাউন্ডে দুটিতে জয়শূন্য রইলো পিএসজি। রেনের বিপক্ষে হারের পর আন্তর্জাতিক বিরতি থেকে ফিরে পিএসজি ঘরের মাঠে জিতেছিল অঁজির বিপক্ষে। এবার আবার করল ড্র।

লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানে অবশ্য তাদের অবস্থান এখনও বেশ মজবুত। ১১ ম্যাচে ৯ জয় ও ১ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ২৮। ৭ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে লঁস।

এক ম্যাচ কম খেলা নিস ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে। তাদের সমান ১০ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে মার্সেই।