কাবুল বিমানবন্দরের বিস্ফোরণে জড়াল ভারতের নাম!

SHARE

কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বিস্ফোরণের সঙ্গে জুড়ে গেল ভারতের নাম। শনিবার ওই আত্মঘাতী হামলার দায়স্বীকার নিজেদের অনলাইন ম্যাগাজিনের সাম্প্রতিক সংখ্যায় একটি বিবৃতি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (খোরাসান) বা আইএসকে। আর তাতেই উস্কে গিয়েছে নয়া জল্পনা—কাবুলে ওই বিস্ফোরণের নেপথ্যে মানববোমা কি ওড়িশার জগৎপুরের বাসিন্দা আব্দুর রহমান? এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে আইএসকে-র ওই বিবৃতিই, যার শিরোনাম, ‘প্রশ্নাতীতভাবে আল্লার দলই সফল হয়েছে’। সঙ্গে রয়েছে কালাশনিকভ রাইফেল হাতে মুখ ঢাকা এক জঙ্গির ছবি। কাবুলে বিস্ফোরণের পরদিন দায়স্বীকারের সময় মানববোমা হিসেবে ঠিক এই ছবিটিই ব্যবহার করেছিল আইএসকে। এদিন তারাই বিবৃতি দিয়ে জানাল সেই আত্মঘাতী জঙ্গির নাম, আব্দুর রহমান আল-লোগরি। সঙ্গে একটি ছোট্ট তথ্য, পাঁচ বছর আগে দিল্লিতে পুলিসের হাতে ধরা পড়েছিল সে।

গত ২৬ আগস্ট দুপুরে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ১৩ মার্কিন মেরিন সহ মোট ১৮০ জনের। আইএসকে-র অবশ্য দাবি, মৃতের সংখ্যা ২৫০। এদিন ‘আনসার উল খলিফা ইন হিন্দ’-এর নামে ওই বিবৃতি সামনে আসতেই রীতিমতো আলোড়ন শুরু হয় দেশের গোয়েন্দা মহলে। ঠিক কী লেখা ছিল সেখানে? ‘পাঁচ বছর আগে আব্দুর রহমান আল-লোগরি ভারতে গিয়েছিলেন, তখন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেবার কাশ্মীরের বদলা নিতে দিল্লিতে গো-ভক্ত হিন্দুদের উপর আত্মঘাতী হামলা চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে।’ এই তথ্য সামনে আসতেই শুরু হয় আব্দুর রহমানের খোঁজ। দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলির তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে আল কায়েদা ‘অপারেটর’ সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ওই নামের এক ব্যক্তিকে। সেই আব্দুর রহমানের বাড়ি ওড়িশার কটকের কাছে জগৎপুরের পশ্চিম কাচ্চা গ্রামে। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই ব্যক্তিই ‘মানববোমা’ আব্দুর রহমান আল-লোগরি। এই আল-লোগরি আইএস-এর সাংগঠনিক উপাধি।

জানা গিয়েছে আরও মারাত্মক একটি তথ্য। তা হল—ওড়িশার আব্দুরের ভাই তাহির আলির জঙ্গিযোগ। গত ২০০১ সালের জানুয়ারি মাসে কলকাতার মার্কিন তথ্যকেন্দ্রে হামলার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাহিরকে। দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল সূত্রে আরও খবর, গত ২০২০ সালের আগস্টে বেঙ্গালুরু থেকে আইএস অপারেটর সন্দেহে আব্দুর রহমান নামে এক চক্ষু চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়। আর ওড়িশার আব্দুর রহমান ছিল পেশায় মাদ্রাসা শিক্ষক।